Happening Now
Congress Blasts Government on Indian Migrants Deportation
অপমান: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে ভারতীয়দের বহিষ্কারের ঘটনায় মোদি চুপ, আক্রমণ খারগের
মাল্লিকার্জুন খারগে মোদি সরকারের প্রতি তীব্র সমালোচনা করেছেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে অবৈধ ভারতীয় অভিবাসীদের বহিষ্কারের এবং তাদের মর্যাদা রক্ষা করতে ব্যর্থ হওয়ার জন্য। কেন শিকল পরিয়ে পাঠানো হল তাদের ভারতে?


SS ভারতীয় অভিবাসীদের সম্মান রক্ষা করতে ব্যর্থ মোদী সরকার – খাড়গে
- কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিষয়ে নরেন্দ্র মোদী সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ করেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে ভারতের অবৈধ অভিবাসীদের বহিষ্কার নিয়ে কেন্দ্রের নীরবতা লক্ষ্য করে বিরোধীদের নিশানা এখন মোদী। আমেরিকা বন্ধু বলেই কি নিজের দেশবাসীর প্রতি অন্যায় দেখেও চূপ করে আছেন প্রধানমন্ত্রী?
- তিনি অভিযোগ করেন যে, কেন্দ্রের নিষ্ক্রিয়তার ফলে জোরপূর্বক ফেরত পাঠানো বিধিবিরোধ ভারতীয়দের "অপমান" করা হয়েছে।
- যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফেরত পাঠানো ভারতীয়দের এখনও হাতকড়া পরিয়ে বিমানে বসিয়ে আনা হচ্ছে, যা দেশের জন্য অপমানজনক বলে মন্তব্য করেন তিনি।
- বিজেপি সরকারকে আক্রমণ করে খাড়গে বলেন, "নিরামিষাশীদেরও আমেরিকায় আমিষ খাবার দেওয়া হয়েছে। আমাদের সরকার এই অপমানের যথাযথ প্রতিবাদ করতে ব্যর্থ হয়েছে।"
- এমনকি অভিযোগ উঠেছে, শিখ অভিবাসীদের তাঁদের পাগড়ি ছাড়াই ভ্রমণ করতে বাধ্য করা হয়েছিল, যা গুরুতর ধর্মীয় অবমাননার শামিল। এগুলো কি ধর্মান্ধ বিজেপি দেখতে পাচ্ছে না?
- শুধু মল্লিকার্জুন খাড়গেই নন, কংগ্রেস সাংসদ রণদীপ সিং সুরজেওয়ালাও প্রশ্ন তোলেন — সরকার কি জানে যে আমেরিকায় এমন ৭,২৫,০০০ ভারতীয় নাগরিক আছেন, যাদের দেশে ফেরত পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে? কতজন ভারতীয়কে এভাবে অমানবিক অবস্থায় ডিটেনশন সেন্টারে রাখা হয়েছে এবং তাদের কি কনস্যুলার অ্যাক্সেস দেওয়া হয়েছে?
- তিনি আরও বলেন, “যে ‘আবকি বার ট্রাম্প সরকার’ স্লোগানের পেছনে ‘নমস্তে ট্রাম্প’ অনুষ্ঠানে ১০০ কোটি টাকা খরচ করেছিল, তারা কি ভাবছে না যে এই ৭,২৫,০০০ ভারতীয় আমেরিকায় গেছে কারণ বছরে ২ কোটির চাকরির যে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল, তা পূরণ হয়নি? যখন কলম্বিয়া মতো একটি ছোট দেশও তাদের নাগরিকদের সঙ্গে মানবিক আচরণ করতে আমেরিকাকে বলতে পারে, তখন ভারত সরকার কেন চুপ?
- নয়াদিল্লির ইন্দিরা ভবনে কংগ্রেস সদর দফতরে দলের সাধারণ সম্পাদক ও বিভিন্ন রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বক্তব্য রাখার সময় খাড়গে এই মন্তব্য করেন।
- একদিকে যখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আমেরিকা সফরে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে ব্যাস্ত তখনই সাংবাদিকদের সামনে অ্যামেরিকার বেআইনি ভারতীয়দের ভারতে পাঠানো নিয়ে মন্তব্য করে অস্বস্তিতে ফেলেছেণ সমগ্র পদ্মফুল দলকে।
- এখন পর্যন্ত, তিনটি মার্কিন সামরিক বিমান অবৈধ দেশবাসীদেরদ নিয়ে ভারতে পৌঁছেছে। ৫ ফেব্রুয়ারি প্রথম দফায় ১০৪ জন অভিবাসী অমৃতসরে ফেরত আসেন।
- এরপর দ্বিতীয় বিমানে ১১৬ জন এবং রবিবার রাতে তৃতীয় বিমানে আরও ১১২ জন অবৈধ অভিবাসী ফেরত পাঠানো হয়।
- প্রসঙ্গত উল্লেখ্য পশ্চিমবঙ্গ কংগ্রেস সদস্যরা কলকাতায় আমেরিকা কনস্যুলেট এর সামনে ভারতীয়দের শিকলবদ্ধ করার জন্য ইতিমধ্যে বিক্ষোভ করেছেন।
এস. জয়শঙ্করের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিরক্ষা
- ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর সংসদে জানিয়েছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে ভারতীয় নাগরিকদের ফেরত পাঠানোর সময় যেন তাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করা হয়, তা নিশ্চিত করতে সরকার যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কাজ করছে। তিনি বলেন, "এটি কোনো নির্দিষ্ট দেশের জন্য প্রযোজ্য নীতি নয়, বরং ২০১২ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্রের একটি নিয়মিত পদ্ধতি।"
- বিবিসিকে এক প্রত্যাবাসিত ব্যক্তি জানান, ৪০ ঘণ্টার পুরো ফ্লাইটজুড়ে তাদের হাতকড়া পরিয়ে রাখা হয়েছিল, যা নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়েছে।
- তবে জয়শঙ্কর বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে তাকে জানানো হয়েছে যে নারী ও শিশুদের বাঁধা দেওয়া হয়নি। তিনি আরও জানান, ভারতের উদ্দেশে এই ধরনের প্রত্যাবাসন ফ্লাইট কয়েক বছর ধরেই চলছে এবং যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ম অনুযায়ী, প্রয়োজনে দমনমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেতে পারে।
- আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রী ভারতের ব্যাপারে সামরিক বিমানের ব্যবহারকে সমর্থন করেছেন, যদিও মেক্সিকো, ব্রাজিল এবং কলম্বিয়ার মতো অন্যান্য প্রধান দক্ষিণ আমেরিকান দেশগুলো শুধুমাত্র অসামরিক প্রত্যাবাসন ফ্লাইট গ্রহণ করে।
- এর আগে জয়শঙ্কর অবৈধ অভিবাসনের বিরুদ্ধে ভারতের অবস্থান পুনরায় জানিয়ে দেন, তবে তিনি বৈধভাবে সীমান্ত পারাপারের পক্ষে সমর্থন জানান। তিনি ২০০৯ সালের পর থেকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে কতজন ভারতীয়কে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে, সে বিষয়ে ইমিগ্রেশন ব্যুরোর পরিসংখ্যানও দেন। ২০২৪ সালে ১,৩৬৮ জন ভারতীয়কে ফেরত পাঠানো হয়েছে, আর সর্বোচ্চ সংখ্যক ফেরত পাঠানোর ঘটনা ঘটেছিল ২০১৯ সালে, যেদিন ২,০৪২ জনকে ফেরত পাঠানো হয়।
মার্কিন শুল্ক নীতির বিরোধিতা না করার অভিযোগ
- খাড়গে বলেন, "আমেরিকা শুধু অভিবাসন নয়, অর্থনৈতিক ক্ষেত্রেও আমাদের ওপর গভীরভাবে আঘাত করছে। তারা আমাদের বিরুদ্ধে রিভার্স ট্যারিফ (উল্টো শুল্ক) আরোপ করেছে, কিন্তু প্রধানমন্ত্রী এর বিরোধিতা করেননি। আমাদের বিরুদ্ধে আর্থিক ক্ষতিসাধনের জন্য চুক্তি চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে, অথচ আমাদের সরকার তা নীরবে মেনে নিচ্ছে।"
- তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে বৈঠকের ঠিক আগে ট্রাম্প ভারতীয় পণ্যের উপর নতুন শুল্ক ঘোষণা করেছিলেন, যা ভবিষ্যতে ভারতের অর্থনীতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে।
- তিনি স্পষ্টতই বলেন, "এটি ভারত এবং ভারতীয়দের জন্য একটি বড় অপমান।"
- ২০২১-২৪ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ভারতের সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক অংশীদার হওয়ার পরও, ট্রাম্প সম্প্রতি মন্তব্য করেন, "ভারত ব্যবসার জন্য অত্যন্ত কঠিন দেশ, কারণ এখানে শুল্ক খুব বেশি।"
সুযোগকে হাতিয়ার করে কংগ্রেস নেতাদের বৈঠক
- সামনেই ২০২৬ বিধানসভা ভোট, তার আগেই যাতে অবৈধ ভারতবাসীদের দেশে পাঠানোর ইস্যু নিয়ে জলঘোলা করতে চাইছেন তিনি।
- দলের কর্মীদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখার সময় খাড়গে বলেন, কংগ্রেসের প্রতি আদর্শিকভাবে অনুগত নেতাদের এগিয়ে আনতে হবে এবং কঠিন সময়ে যারা দল ত্যাগ করেন, তাদের বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।
- নয়াদিল্লিতে কংগ্রেসের শীর্ষ নেতারা বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে একত্রিত হন এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাও চূড়ান্ত করেন সেখানে।
- কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক ও বিভিন্ন রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা ইন্দিরা ভবনে নবনির্মিত দলের সদর দফতরে বৈঠকে যোগ দেন।
- এই বৈঠকে মল্লিকার্জুন খাড়গে, প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী এবং সর্বভারতীয় কংগ্রেস কমিটির (AICC) সাংগঠনিক সাধারণ সম্পাদক কেসি বেণুগোপাল উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, সম্প্রতি AICC-এর পুনর্গঠিত কমিটিতে নতুন কর্মকর্তাদের নিয়োগের পরপরই এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।




ব্রডকাস্ট চ্যানেল







ডেইলি ডিজিটাল নিউজ পেপার











Copyright © All Rights Reserved by Truee News Bangla is a copyright property of Independent Media Corp