Happening Now
TMC Victory: LGBT Community Exhibits Staunch Support for Akhil Giri
৯ এ ৯! সমবায় সমিতির ভোটে তৃণমূলের জয়, মাথায় হাত বিজেপির
হারানো সাম্রাজ্য আবার ফিরে পেল রামনগরের তৃণমূল বিধায়ক অখিল গিরি। রামনগর সমবায় সমিতির ভোটে সবুজ ঝড়ে পুরোপুরি ধরাশাই বিজেপি।


সমবায় সমিতি ভোটে ধরাশায়ী বিজেপি
- সামনেই ২০২৬ নির্বাচন, তার আগেই ছোট ছোট মক টেস্টের মতন বিভিন্ন জায়গায় হচ্ছ সমবায় সমিতির ভোট। আর সেই ছোট ছোট পরীক্ষাতেই জিতে নিজেদের আত্মবিশ্বাসের শিখরে উঠছে বাংলা শাসক দল। অন্যদিকে সেই পরীক্ষাতেই হেরে কোনঠাসা হয়ে হচ্ছে বিজেপি।
- পূর্ব মেদিনীপুরের রামনগর-১ ব্লকের দুবলাবাড়ি টেংরামারি কৃষি উন্নয়ন সমিতির পরিচালনা কমিটির নির্বাচনে ৯টি আসনের সবকটিতেই জয়ী হয়েছে তৃণমূল সমর্থিত প্রার্থীরা।
- বিজেপির শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত তালগাছাড়ি-২ পঞ্চায়েত এলাকায় এই বিপুল জয় শাসক শিবিরের কাছে বড় প্রাপ্তি।
- ৯টি আসনের মধ্যেই তৃণমূল সমর্থকদের ব্যাপক জয়লাভ হয়েছে। গত লোকসভা ভোটে, শুভেন্দু অধিকারীর ছোট ভাই সৌমেন্দু অধিকারী রামনগরের বিধায়ক অখিল গিরির এলাকায় প্রায় দশ হাজার ভোটে লিড পেয়েছিলেন, যা তৃণমূলের জন্য চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল।
- কিন্তু এবার যেন পুরো উলটপুরাণ। গত লোকসভা ভোটে এই বিধানসভা এলাকায় সৌমেন্দু অধিকারী বড় লিড পেয়ে, অখিল গিরিকে সরিয়ে গেরুয়া ঝড়ে রীতিমত উড়ে গেছিলো তৃণমূল। এবার সেই ঝড় কাটিয়েই নিজেদের ভীত আবার শক্ত করেছে তৃণমূল।
- তবে এবার সমবায় নির্বাচনে বিজেপির ভরাডুবিতে তৃণমূল দাবি করছে, অখিল গিরি ইতিমধ্যেই নিজের এলাকায় প্রভাব পুনরুদ্ধার করতে শুরু করেছেন।
- তালগাছাড়ি-২ পঞ্চায়েত এখনও বিজেপির দখলে থাকলেও, এই সমবায় সমিতিতে তৃণমূলের বিপুল জয় দলের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে উচ্ছ্বাস ছড়িয়ে দিয়েছে, অনেকটা বোর্ড পরীক্ষার আগে টেস্টের রেজাল্টে ফল ভালো হলে যেমন আত্মবিশ্বাস বাড়ে, সমবায় সমিতির ভোটে এখন ঠিক সেই অবস্থাই তৃণমূলের।
- গত লোকসভা ভোটেই ১০ হাজার ভোটে লিড পেয়েছিলো শুভেন্দুর ভাই সৌমেন্দু অধিকারী। একের পর এক সমবায় দখলে শাসক দলIশুধু সৌমেন্দু অধিকারীর গড় নয়, আরও বিজেপির গড় এখন সমবায় সমিতির ভোটের পর তৃণমূলের কব্জায়।
- র্ব মেদিনীপুরের ভগবানপুর ১ ব্লকের মহম্মদপুর পূর্ব পাড়া সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির ৫১টি আসনের ভোটেও ৪৪ টি আসনে জিতেছে তৃণমূল।
- পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরার হরিনারায়ণপুরে অনুষ্ঠিত সমবায় নির্বাচনে তৃণমূল বড় জয় পেয়েছে। ৪১টি আসনের মধ্যে ২১টি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে নেয় তৃণমূল।
- দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগরের বহড়ু সমবায় সমিতির নির্বাচনে তৃণমূল ৪৯টি আসনের সবকটিতে জয় লাভ করেছে। টানা ৪০ বছর পর এককভাবে ক্ষমতায় এসেছে শাসক দল। এই জয়ে উচ্ছ্বসিত দলীয় কর্মী-সমর্থকরা সবুজ আবির মেখে আনন্দ উদযাপন করেন।
- বলতে গেলে চারিদিকে সমবায় সমিতির ভোটে তৃণমূল শিবিরের জয়জয়কার। অন্যদিকে শাসকদলের এই জিত যে বিজেপির ভেতর কাঁপিয়ে দিচ্ছে তা কিছুটা হলেও অনুমান করা যাচ্ছে।
কি বলছে বিরোধী দল ও শাসক দল
- শাসক দলের মতে, এই জয় প্রমাণ করছে যে, অখিল গিরি ফের নিজের এলাকায় সংগঠন মজবুত করতে শুরু করেছেন। একের পর এক সমবায় সমিতি দখলে নিয়ে পঞ্চায়েত এলাকা থেকে বিজেপিকে সরানোর চেষ্টা করছে তৃণমূল।
- তৃণমূলের দাবি, গত লোকসভা নির্বাচনে এই এলাকায় বিজেপি বড় লিড পেলেও এবার সমবায় নির্বাচনে তাদের অস্তিত্ব কার্যত শেষ হয়ে গেছে।
- ওলমাইদলবাড় সমবায় কুমিরদা গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত, যেখানে আগে থেকেই তৃণমূলের প্রভাব রয়েছে। আইএনটিটিইউসির জেলা সভাপতি বিকাশ বেজ বলেন, "আগে এখানে সর্বদলীয় বোর্ড ছিল, কিন্তু এবার মানুষ সম্পূর্ণভাবে তৃণমূলের পাশে দাঁড়িয়েছে। আগামী দিনে বিজেপি থাকবে না।"
- অন্যদিকে হেরে গিয়ে বিজেপির দাবী, "শাসক দল ক্ষমতার জোরে জয়ী"। এই জয়কে সহজভাবে নিতে নারাজ বিরোধী দল বিজেপি। কাঁথির বিজেপি নেতা অরূপকুমার দাসের অভিযোগ, সহজ ও সৎ ভাবে এই ভোট জেতেনি তৃণমূল। কারচুপি আছে এর পেছনে।
- ২০২৬ ভোট যে কতটা রোমাঞ্চকর হতে চলেছে তা বোঝা যাচ্ছে। সেখানেও যদি তৃণমূল নিজের খেল দেখায় তাহলে বিজেপির অবস্থা কতটা ভয়াবহ হবে তা আন্দাজ করে যায়।
সমবায় সমিতি তৃণমূলের পাশে কেন?
- ২০২১ সালের পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচন এলজিবিটিকিউ কমিউনিটিকে উপেক্ষিত মনে করিয়েছিল। এই প্রসঙ্গে 'অ্যাসোসিয়েশন অফ ট্রান্সজেন্ডার'-এর প্রতিষ্ঠাতা প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত শুধুমাত্র নির্বাচনের আগে নয়, সারা বছর ধরেই এলজিবিটিকিউ কমিউনিটির সঙ্গে যোগাযোগ রাখা।
- তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) এবং ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (CPI) সমলিঙ্গ বিবাহের আইনি স্বীকৃতির পক্ষে সমর্থন জানিয়েছে। অন্যদিকে, ভারতীয় জনতা পার্টি (BJP) স্পষ্টভাবে সমলিঙ্গ বিবাহের বিরোধিতা করেছে। কেন্দ্রীয় সরকার সুপ্রিম কোর্টে জানিয়েছে যে “সমলিঙ্গ বিবাহ একটি শহুরে ও অভিজাত ধারণা, এবং এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার সংসদেরই থাকা উচিত, আদালতের নয়।” লিঙ্গ পরিচিতি নিয়ে বিজেপির বৈষম্যমূলক দৃষ্টিভঙ্গি তাদের পরাজয়ের এক বড় কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছেI
- অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সমলিঙ্গ বিবাহের সমর্থনে বলেছেন “ভারত একটি গণতান্ত্রিক দেশ। সবারই নিজের জীবনসঙ্গী নির্বাচন করার অধিকার রয়েছে। ভালোবাসার কোনো ধর্ম নেই, ভালোবাসার কোনো সীমানা নেই, ভালোবাসার কোনো সীমা নেই। আমি আমার পছন্দের জীবনসঙ্গী নির্বাচন করতে পারি। আমি যদি একজন পুরুষ হয়ে একজন পুরুষকে ভালোবাসি, বা একজন নারী হয়ে একজন নারীকে ভালোবাসি, সবারই প্রেমে পড়ার, পছন্দ নির্বাচন করার অধিকার রয়েছে। আমরা ভারতের বৈচিত্র্যের মধ্যে গর্বিত, যা আমাদের একত্রিত করে।”
- সমলিঙ্গ বিবাহ সম্পর্কে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ ও নেতা ডেরেক ও'ব্রায়েন ব্যাখ্যা করেছিলেন যে, এটি আমাদের বহুত্ববাদী জাতির মধ্যে "বৈচিত্র্য" সমর্থন করার বিষয় এবং নিশ্চিত করার যে 'বড় সংখ্যাগোষ্ঠীবাদ কোনো কিছু সঠিক কিনা তা নির্ধারণ করার কারণ হতে পারে না'।
- প্রথম কলকাতা প্রাইড ওয়াক, যেটি "ফ্রেন্ডশিপ ওয়াক" নামে পরিচিত, ১৯৯৯ সালের ২ জুলাই অনুষ্ঠিত হয়েছিল, যা দক্ষিণ এশিয়ায় সংগঠিত এলজিবিটিকিউ+ গর্বের ইভেন্টগুলির শুরু ছিল। ২০২৪ সালের প্রাইড ওয়াকটি এই ইভেন্টটির ২৫ বছর উদযাপন করেছে, যেখানে হাজার হাজার অংশগ্রহণকারী শক্তি, স্থিতিস্থাপকতা এবং অন্তর্ভুক্তির প্রদর্শন করেছেন। কলকাতা রেইনবো প্রাইড ওয়াক একটি রাজনৈতিক বিবৃতি, যা সকলের জন্য সমতা, সহিষ্ণুতা, ভালোবাসা এবং সংহতির পক্ষে, লিঙ্গ, যৌনতা, ধর্ম ইত্যাদি নির্বিশেষে।
- কোভিড পর্বে পশ্চিমবঙ্গে কুইয়ার কমিউনিটির জন্য সেবাদাতাদের সর্ববৃহৎ সমাবেশ ছিল। কলকাতা ভিত্তিক ভারতা ট্রাস্ট একটি অনলাইন লোকেটর তৈরি করেছে, যার বৈশিষ্ট্যগুলি ব্যবহারকারীকে সেবাগুলির পাশাপাশি সেবাদাতাদের দ্বারা সেবা পাওয়া বিভিন্ন কুইয়ার কমিউনিটির উপ-শাখাগুলোর অনুসন্ধান করার সুযোগ দেয়।
- তৃণমূল কংগ্রেস আদালতে এবং বিভিন্ন সামাজিক-আর্থিক পদক্ষেপের মাধ্যমে এলজিবিটিকিউ কমিউনিটির প্রতি দৃঢ় সমর্থন দেখাচ্ছে, যার ফলে এখন ওই কমিউনিটি দলটিকে সমর্থন করছে, যা নির্বাচনী বিজয়ে পরিণত হয়েছেI




ব্রডকাস্ট চ্যানেল







ডেইলি ডিজিটাল নিউজ পেপার











Copyright © All Rights Reserved by Truee News Bangla is a copyright property of Independent Media Corp