Happening Now
Major Political Shift: BJP Members Join TMC
২৬’এর ভোটের আগে ভাঙন বঙ্গ বিজেপিতে, পদ্মফুলে থেকে ঘাসফুলে ৩০০ র বেশী কর্মীরা
সামনেই নির্বাচন তার আগেই মাথায় হাত বঙ্গ ভারতীয় জনতা পার্টির। গত বিধানসভা ভোটে জিতলেও, এবারে ভোটের আগেই টলমলে পুরুলিয়ার বিজেপি। পদ্মফুল ছেড়ে তৃনমূ যোগ দিচ্ছেন বহু কর্মী। বিজেপিতে নাকি কোন লাভ হচ্ছে না এমনি দাবী করছেন বিজেপি সদস্যরা। শুধু পুরুলিয়াই নয়, উত্তরবঙ্গেও এক অবস্থা বিজেপির। ক্রমাগত সদস্য সংখ্যা বাড়ার বদলে কমছে বিজেপির কর্মী সংখ্যা।


বিজেপির শূন্যস্থানে, ভরছে তৃণমূল
- বাংলায় এসে অমিত শাহ বলে গেছিলেন বঙ্গ বিজেপি নাকি এককোটি সদস্যসংখ্যা ছোঁবে খুব দ্রুত তাও ২০২৬ ভোটের আগে। এমনকি ৫০ লাখও নাকি পেরোয়নি সদস্যসংখ্যা। তার মধ্যেই, বিজেপি থেকে আরও সদস্য চলে এলো তৃনমূলে।
- দলদিরি মোড়ে তৃণমূল কংগ্রেস কার্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে গেঁড়ুয়া অঞ্চলের বিভিন্ন বুথ থেকে ৩৩০টি পরিবার বিজেপি ত্যাগ করে তৃণমূলে যোগদান করেন।
- এই যোগদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বলরামপুর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি গৌতম মাহাতো, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কাল্লাবতী কুমার এবং অঞ্চল সভাপতি। তাঁরা নবাগত সদস্যদের হাতে তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় পতাকা তুলে দেন।
- যোগদানকারী গণপতি কর্মকার, যিনি বিজেপির বুথ প্রমুখ ছিলেন, জানান যে বিজেপিতে থেকে কোনো উন্নয়ন হয়নি। রাজ্যের তৃণমূল সরকারের প্রগতির সঙ্গে যুক্ত হতে তাঁরা বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করেছেন।
উত্তরবঙ্গে বিজেপির সংগঠনে ক্ষয়
- কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জন বার্লার নিজস্ব এলাকায় বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে ভাঙন দেখা দিয়েছে। মঙ্গলবার, তিনশোর বেশি বিজেপি কর্মী-সমর্থক তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেছেন।
- চা বলয়ে নিজেদের শক্ত ঘাঁটিতে এই দলবদল হলেও, বিজেপি এটিকে গুরুত্ব দিচ্ছে না, সত্যি কি দিচ্ছে না? যদি না দেয় তাহলে এখনই নজর দেওয়া উচিত নয়কি বিজেপির?
- এই অবহেলার ফল যে ভালো হবে না তার ইঙ্গিত এখন থেকেই বেশ স্পষ্ট।
- ডুয়ার্সের চা বলয়ের নাগরাকাটা বিধানসভা আসনটি বিজেপির দখলে ছিল। সেই নাগরাকাটা বিধানসভার ক্যারন চা-বাগানের সমস্ত শ্রমিক সংগঠনের সদস্যরা তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি-তে যোগ দেন।
- জেলা আইএনটিটিইউসি নেতা রাজেশ লাকড়ার নেতৃত্বে এই যোগদান অনুষ্ঠিত হয়। ফলে, তৃণমূল নেতৃত্ব দাবি করছে যে ক্যারন চা বাগান এখন বিজেপি শূন্য হয়ে গেছে।
- অপরদিকে বিজেপির বক্তব্য এখনও অনেক কর্মী আছে তাদের কাছে, এইসব নাকি মিথ্যে রটনা।
- এখন মিথ্যা রটনা না বাস্তব চিত্র তা তো ২০২৬ এই বোঝা যাবে।
কেন গড় ভাঙছে বিজেপির?
- গতবার বিজেপি হাসলেও এবার কি হাসি হাসবে তৃণমূলই? কিন্তু কেন?
- তৃণমূলের মতন সাধারণ গ্রাম বাংলার মানুষেরা বুঝতে পারছে বিজেপির অভ্যন্তরে ভীত কতটা নড়বড়ে। এবং বিজেপির সদস্য সংখ্যা থেকে আভ্যন্তরীণ গোষ্ঠী কোন্দল মিটিয়েই উঠতে পারেনি বিজেপি সেখানে কিভাবে জিতবে তারা?
- পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূলের নিরবচ্ছিন্ন আধিপত্য দলটিকে একটি আকর্ষণীয় বিকল্প হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। যারা রাজনৈতিক প্রভাব ও স্থিতিশীলতা খুঁজছেন, তাঁদের কাছে তৃণমূল অনেক বেশি নিরাপদ মনে হয়েছে। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে দলের নিরঙ্কুশ জয় এই বিশ্বাসকে আরও দৃঢ় করেছে।
- কিছু নেতা আদর্শগত মতপার্থক্যকে বিজেপি ছাড়ার কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। হালদিয়ার বিজেপি বিধায়ক তপসী মণ্ডল বলেন, বিজেপির "বিভাজনের রাজনীতি" তাঁকে অস্বস্তিতে ফেলেছে এবং তিনি মমতা ব্যানার্জির নেতৃত্বে রাজ্যের উন্নয়নে অংশ নিতে চান।
- কিছুদিন আগেই বাংলা সফরে এসেছিলেন মোহন ভাগবত। এই ১২ দিনের সফরে এসে মোহন ভাগবতও বুঝতে পেরেছেন বঙ্গ বিজেপির হাল যথেষ্ট খারাপ।
- তৃণমূল কংগ্রেস বিভিন্ন দল থেকে নেতা-নেত্রীদের স্বাগত জানিয়ে নিজের ভিত্তি মজবুত করতে সক্রিয়ভাবে কাজ করছে। দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নিয়েছেন, আরও বহু বিজেপি নেতা তৃণমূলে যোগ দেওয়ার জন্য প্রস্তুত আছেন — যা এক কৌশলগত পদক্ষেপ।
- অন্তরদ্বন্দ্ব, মুখ্য প্রার্থীর অভাব, সংগঠনের কাজকর্মের অনীহা বিজেপিকে পিছনে ফেলে দিচ্ছে।
- এমতবস্থায়, সামনের কয়েক মাসের মধ্যে কিভাবে বিজেপি নিজেদের ঘূড়ে দার করাবে তা প্রশ্নাতীত।
- সামনের কয়েকমাসের মধ্যে বিজেপির অনেক বড় নেতাই দলবদল করে আসতে পারে তৃনমূলে। সম্প্রতি শুভেন্দু অধিকারীর ঘনিষ্ঠ তাপসী মণ্ডল দলবদল করে এসেছেন তৃনমূলে।
- রাজীব চক্রবর্তীর মতো নেতাও নাকি সম্প্রতি দেখা করেছেন তৃণমূল উকিলের সাথে তাহলে কি তৃনমূলে ফেরার পথ তিনিও চওড়া করছেন?
- ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে দেখা গিয়েছিল দু’জন হেভিওয়েট বিজেপি নেতা, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়, দলের সাংসদ অর্জুন সিং — এবং আরও আটজন বিধায়ক তৃণমূলে যোগ দেন। ইতিহাস কি আরেকবার নিজেকে পুনরাবৃত্ত করতে চলেছে?
কি বলছে বিজেপি?
- এই যোগদান প্রসঙ্গে বিজেপির জেলা সভাপতি বিবেক রাঙা এই ঘটনাকে তৃণমূলের নাটক বলে অভিহিত করেছেন।
- তিনি দাবি করেন, এর আগেও সোশ্যাল মিডিয়ায় যোগদানের সংখ্যা দেখা গেছে, কিন্তু বাস্তবে ওই গ্রামে এত মানুষ বাস করেন না।
- এই দলবদল নিয়ে যথেষ্ট চিন্তায় বিজেপি। তা মূখে প্রকাশ না করলেও, ভোটের আগে এত হারে দলবদল, ঘাম ঝরাচ্ছে বিজেপির।




ব্রডকাস্ট চ্যানেল







ডেইলি ডিজিটাল নিউজ পেপার











Copyright © All Rights Reserved by Truee News Bangla is a copyright property of Independent Media Corp