অঙ্গদান পরিকল্পনা এবং উচ্চমানের স্বাস্থ্যসেবা প্রদান - ত্রিপুরা বৃহৎরোডম্যাপ

অঙ্গদান ও প্রতিস্থাপনের রোডম্যাপের পরিকল্পনা

• ত্রিপুরা রাজ্য সরকার ২০২৪ সালে আগরতলা গভর্নমেন্ট মেডিকেল কলেজ (AGMC) এবং গোবিন্দ বল্লভ পন্ত (GBP) হাসপাতালে সফল কিডনি প্রতিস্থাপনের পর অঙ্গদান ও প্রতিস্থাপনের জন্য একটি সমন্বিত রোডম্যাপ তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যা লিভার ও হার্ট প্রতিস্থাপনকেও অন্তর্ভুক্ত করবে।
• ২০২৪ সালের ৮ জুলাই, AGMC এবং GBP হাসপাতালে প্রথমবারের মতো কিডনি প্রতিস্থাপন সফলভাবে সম্পন্ন হয়। এই অস্ত্রোপচারে ২০ বছর বয়সী শুভম সূত্রধর তার মা মুন্না সাহা সূত্রধরের কাছ থেকে কিডনি গ্রহণ করেন। এই সাফল্য ত্রিপুরার চিকিৎসা ক্ষেত্রে একটি মাইলফলক স্থাপন করে।
• এই সাফল্যের পর, রাজ্য সরকার অঙ্গদান ও প্রতিস্থাপনের প্রক্রিয়া শক্তিশালী করতে একটি গুরুত্বপূর্ণ সভা আয়োজন করে। এই সভায় চেন্নাইয়ের মোহন ফাউন্ডেশন, নয়াদিল্লির AIIMS, AGMC এবং GBP হাসপাতালের চিকিৎসক এবং রাজ্য সরকারের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
• সেই সভায় নিম্নগুলিতে যে সিদ্ধান্তগুলি গৃহীত হয়েছে তা হল, ইমিউনোলজি ল্যাব স্থাপন: AGMC এবং GBP হাসপাতালে ইমিউনোলজি ল্যাব স্থাপন করা হবে, যা অঙ্গ প্রতিস্থাপনের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা সহজতর করবে।
• টাস্ক ফোর্স ও বাস্তবায়ন গ্রুপ গঠন: অঙ্গদান ও প্রতিস্থাপন প্রক্রিয়া সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য একটি বিশেষ টাস্ক ফোর্স এবং বাস্তবায়ন গ্রুপ গঠন করা হবে।
• গণসচেতনতা বৃদ্ধি: জীবিত ও মৃত ব্যক্তিদের অঙ্গদানের গুরুত্ব সম্পর্কে জনগণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য ব্যাপক প্রচার অভিযান চালানো হবে।

উন্নত স্বাস্থ্যসেবা পরিকাঠামো

• মুখ্যমন্ত্রী সাহা জানান যে রাজ্যে অঙ্গ প্রতিস্থাপনের প্রক্রিয়া শক্তিশালী করতে আগরতলা সরকারি মেডিকেল কলেজ (AGMC) এবং GBP হাসপাতালে ইমিউনোলজি ল্যাব স্থাপন করা হবে।
• গতবারের সাফল্যের পর, রাজ্য সরকার অঙ্গদান ও প্রতিস্থাপনের জন্য একটি সমন্বিত রোডম্যাপ তৈরির পরিকল্পনা করছে, যাতে ভবিষ্যতে লিভার ও হার্ট প্রতিস্থাপনও অন্তর্ভুক্ত করা যায়।
• অঙ্গদান প্রক্রিয়াকে আরও কার্যকর করতে AGMC এবং GBP হাসপাতাল চেন্নাইয়ের মোহন ফাউন্ডেশনের সাথে অংশীদারিত্ব করেছে। এই সহযোগিতার মাধ্যমে মস্তিষ্ক-মৃত রোগীদের কাছ থেকে অঙ্গ সংগ্রহের প্রক্রিয়া সহজতর হবে এবং রাজ্যে অঙ্গ প্রতিস্থাপনের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে।
• রিপুরা সরকার সুপার স্পেশালিটি অবকাঠামো উন্নয়নের পরিকল্পনা করছে, যাতে জনগণ রাজ্যের বাইরে না গিয়ে সমস্ত চিকিৎসা সুবিধা পেতে পারেন।
• মুখ্যমন্ত্রী সাহা জানান যে অনেক বিনিয়োগকারী ত্রিপুরায় মেডিকেল, ডেন্টাল, হোমিওপ্যাথিক এবং আয়ুর্বেদিক কলেজ স্থাপনেও আগ্রহী।
• • এই পদক্ষেপগুলি ত্রিপুরার স্বাস্থ্যসেবা ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতিকে নির্দেশ করছে, যা রাজ্যের জনগণকে উন্নত চিকিৎসা সুবিধা প্রদান করতে সহায়তা করবে এবং অঙ্গ প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে অনেক জীবন বাঁচাতে সক্ষম হবে।