Happening Now
STF Report: Establishing Terror Networks Inside Prison
ধর্মান্তকরণ করে জঙ্গি! জেল থেকেই বেরোচ্ছে বাংলার জঙ্গিগোষ্ঠী
জেলের ভেতর বসেই তৈরী হচ্ছে জঙ্গি! ধর্ম বদলে মগজ ধোলাই দিয়ে জঙ্গি শিক্ষা, নেপথ্যে খাগড়াগড় কান্ড অভিযুক্ত জামাতুল মুজাহিদিন (জেএমবি) নেতা তারিকুল ইসলাম ওরফে সুমন ।


জঙ্গি তৈরির কারখানা বাংলার জেল
- আদালতে পেশ করা এসটিএফ-এর রিপোর্টে বলছে, সন্ত্রাসবাদীরা জঙ্গি জালের বিস্তারের উদ্দেশ্যে জেলকেই টার্গেট করছে। বাংলার জেল থেকে আর সংশোধন হয়ে মানুষ বেরোচ্ছে না, বেরোচ্ছে জঙ্গি।
- প্রতিবেদনে জানা গেছে, ২০১৪ সালের খাগড়াখড় বিস্ফোরণ-কাণ্ডে গ্রেফতার হওয়া তারিকুল নাকি জেলের ভিতর থেকেই তার জঙ্গি কার্যকলাপ চালাচ্ছে।
- বাইরের সাথে যোগাযোগ রক্ষায় তারিকুল হোঁচট খেতে থাকায়, জেলের অন্দরেই ফাঁদ তৈরি করেছে সে, যেখানে চলছে ধর্মান্তরণ ও জঙ্গি কার্যকলাপের শিক্ষা।
- তারিকুল ইসলাম জেলখানার ভেতরে বন্দি অন্যান্য কয়েদিদের চরমপন্থী মতাদর্শে দীক্ষিত করার কাজে যুক্ত ছিল। বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য, তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে যে, তিনি পকসো (POCSO) আইনের আওতায় অভিযুক্ত এক সহবন্দিকে চরমপন্থী আদর্শে প্রভাবিত করেছিলেন। এই নিয়োগ বা দীক্ষাদানের প্রক্রিয়া ছিল জেএমবির প্রভাব বিস্তারের একটি বৃহৎ কৌশলের অংশ, যার মাধ্যমে কারাগারের ভেতরে থাকা বন্দিদের মতাদর্শগতভাবে প্রভাবিত করা হচ্ছিল।
- এর পাশাপাশি, তারিকুল ইসলামের নাম নতুন একটি জঙ্গি সংগঠন গঠনের সঙ্গেও যুক্ত হয়েছে—যার নাম জামাতুল আনসার আল-হিন্দাল শারকিয়া। জানা গেছে, এই সংগঠনটি গঠিত হয় কারাগারে বন্দি থাকা নিষিদ্ধ সংগঠনের নেতাদের দ্বারা, যার মধ্যে জেএমবিও রয়েছে। এই গোষ্ঠীর উদ্দেশ্য হলো, জেলখানার ভেতর থেকেই জঙ্গি কার্যকলাপ চালিয়ে যাওয়া।
- কিন্তু যদি শুধু জঙ্গি তৈরি হত তাও নয় হত, গোঁদের উপর বিষফোঁড়া হল ধর্মান্তকরণ।
ধর্মান্তকরণের কাণ্ডারি তারিকুল
- কোলকাতা পুলিশের বিশেষ টিম এসটিএফ কিছুদিন আগেই আসাম থেকে ৩ জন ও বাংলা থেকে ৬ জন জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করেছে।
- আসল মজার ব্যাপারটা হল, এই বাংলা থেকে আটক করা ৬ জন জঙ্গির মধ্যে একজন ছিল আব্দুল।
- এই আব্দুলের প্রকৃত নাম বিপ্লব বিশ্বাস। যিনি নদীয়ার বাসিন্দা। বিশেষ তদন্তকারী দলের তথ্যমতে, বহরমপুর জেলে তারিকুল, বিপ্লব ওরফে আব্দুলের সাথে আলাপ তার।
- নদিয়ার থানাপাড়া থেকে জঙ্গি-যোগে গ্রেফতার হয়েছে বিপ্লব বিশ্বাস নামে এক ব্যক্তি। জানানো হয়েছে, জামাত-উল-মুজাহিদিনের বাংলাদেশি সদস্য বিপ্লব বিশ্বাসের সঙ্গে তারিকুলের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল।
- আব্বাস তারিকুলের দ্বারা দীক্ষিত হওয়ার পর, জেল থেকে মুক্তি পেয়ে সে মাদ্রাসা চালু করে—আর সেই কাজেও তাকে দিকনির্দেশনা দিতেন এখনও বন্দি থাকা তারিকুলই।
- তদন্তকারীরা দাবি করছেন, শুধুমাত্র বিপ্লব নয়—তারিকুল জেলের ভিতরে বসে আরও তিনজনকে ধর্মান্তরণ করেছেন। তবে, প্রশ্ন হচ্ছে—কিভাবে জেলের সীমাবদ্ধ পরিবেশে এমন ব্যাপক কার্যকলাপ পরিচালনা করা সম্ভব?
- আর সেই তিনজনের মধ্যে মাত্র ১ জন অর্থাৎ বিপ্লবকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাহলে বাকিরা কথায় গেল? দুশ্চিন্তার বিষয় এখনও তাদের টিকিটাও ধরতে পারেনি পুলিস।
তারিকুল ইসলাম কে?
- তারিকুল ইসলামকে জামাত-উল-মুজাহিদিন বাংলাদেশের (জেএমবি) সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী কমিটি ‘শূরা’র একজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
- জাতীয় তদন্ত সংস্থা (এনআইএ) ইতিমধ্যেই ২০১৪ সালের অক্টোবর মাসে বর্ধমানে খাগড়াগড় বিস্ফোরণের ঘটনায় তার বিরুদ্ধে চার্জশিট দায়ের করেছে, যেখানে দুইজন নিহত হয়েছিলেন।
- এই মামলার তদন্ত চলাকালীন, এনআইএ দাবি করে যে, ইসলাম জেএমবির একটি বৃহৎ ষড়যন্ত্রের অংশ ছিল, যার উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশ এবং ভারতে সন্ত্রাসী হামলা সংগঠিত করা। তদন্তে আরও উঠে আসে যে, ২০০৮-২০০৯ সাল থেকে ইসলাম বারবার অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করছিল।
- তাকে নিয়ে আরও অভিযোগ রয়েছে যে, তিনি ভুয়া নথি জমা দিয়ে ভুয়া ভারতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করেছিলেন। এনআইএ আরও দাবি করে যে, তদন্তে প্রমাণ মেলে ইসলাম অন্যান্য অভিযুক্তদের সঙ্গে মিলে জেএমবির সক্রিয় সদস্য হিসেবে একাধিক সন্ত্রাসবাদী প্রশিক্ষণ শিবিরে অংশ নিয়েছিলেন, যেগুলি দলটির সিনিয়র সদস্যরা পরিচালনা করেছিলেন।
- এনআইএ অভিযোগ করেছিল যে, তারিকুল একটি ষড়যন্ত্রে জড়িত ছিল, যার উদ্দেশ্য ছিল সহিংস সন্ত্রাসী কার্যকলাপের মাধ্যমে বাংলাদেশের বর্তমান গণতান্ত্রিক সরকারকে উৎখাত করে কঠোর শরিয়া ভিত্তিক ইসলামিক শাসন কায়েম করা। এই ষড়যন্ত্রের কথা সামনে আসে একটি দুর্ঘটনাজনিত বিস্ফোরণের পর।
- তারিকুল আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের নেতাদের সঙ্গে "বৃহত্তর বাংলাদেশ" গঠনের পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করেছিল। এই পরিকল্পনার অন্তর্গত ছিল উত্তরবঙ্গের ছয়টি জেলা—মুর্শিদাবাদ, মালদা, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর, জলপাইগুড়ি এবং কোচবিহার বাংলাদেশে অন্তর্ভুক্ত করাI
বেহাল হাল সংশোধনাগারের!
- যেই জেলে অপরাধীদের রাখা হয় এই ভেবে জে তারা অপরাধ ছেড়ে দেবে কিন্তু সেখান থেকেই নাকি তৈরি হচ্ছে জঙ্গি।
- এককালে এই জেলেরই মন্ত্রী ছিলেন অখিল গিরি, যিনি নাকি এককালে বহু বিতর্কের সাথে জড়িয়ে।
- এখন বাংলার কাড়া মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা। যিনি পরিচিত অনুব্রত মন্ডলের ঘনিষ্ঠ । এই মন্ত্রীও একাকালে শিক্ষা নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে চর্চায় ছিলেন। বাড়ি থেকে পাওয়া গেছে ৪১ লাখ টাকা।
- ফলে বর্তমানে বাংলার জেলগুলোর এই বেহাল দশা কেন তার উত্তর কিন্তু এই অখিল গিরি ও চন্দ্রনাথ সিনহাই দিতে পারবে, কিন্তু হাস্যকর বিষয় তারা নিজেরাই জেলে জাওয়া থেকে কোনোরকমে ঠেকে আছেন ।
- তাহলে বাংলার হাল জে কেন এরকম তা সহজেই অনুমেয়। জেলে বসে নাশকতার ছক যে হচ্ছে তা নিশ্চই প্রশাসনের কানে গেছে তাহলে কেন এখনো নীরব মমতার সরকার?
- জেলের ভেতর বসে ধর্মান্তকরণ ও জঙ্গি তৈরী মোটেও লঘু পাপ নয় তাহলে ভোটার জন্য এই ব্যাপারকেও ধামাচাপা দেবে রাজ্য সরকার?




ব্রডকাস্ট চ্যানেল







ডেইলি ডিজিটাল নিউজ পেপার











Copyright © All Rights Reserved by Truee News Bangla is a copyright property of Independent Media Corp